top of page

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের ছাত্রী স্বর্ণা আক্তারের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                                                স্বর্ণা আক্তার  

 

 

আমি  স্বর্ণা আক্তার, থাকি ফারিদপুর। রাজেন্দ্র কলেজ থেকে অনার্স .পাশ করেছি। বর্তমানে একটি কোম্পানিতে SEO Expart হিসেবে ফুল টাইম জবে কর্মরত আছি।

আমার ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা বলতে গেলে  আমি ফারিদপুরের একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ শিখে নিলাম। তখন থেকেই মুলত ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করা।

কিন্তু আমি কোনভাবেই এই আর্নিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। ভাবতাম এমন কিছু কি করা যায় না যেটা আমার সাবজেক্টের সাথে মিলে। যে কাজ করলে আমি একটা সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবো। তাই অনেক ভেবে চিন্তে এসইও শেখার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু নিজে নিজে এভাবে শিখে আমার নলেজ বেশিদূর এগোতে পারছিলো না। তাই এমন একজনকে খুজছিলাম যে নিজেও কাজ করছে আর আমাকেও হাতে কলমে কাজ শিখাতে পারবে।

এর মধ্যে একদিন ফেসবুকে আকাশ ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে পারলাম আর সেখান থেকেই মূলত এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর সাথে আমার পরিচয়। এরপর খোজ নিলাম। তখনই নিশ্চিত হলাম, এডাল্ট আইটি লিমিটেডই পারবে আমাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে।

এরপরই এসইও কোর্সে ভর্তি হলাম। আমার যেহেতু ওডেস্কে আগেই ভাল ফিডব্যাক ছিল তাই কাজ পেতে তেমন সময় লাগে নি। সম্ভবত কোর্স শেষ করার ১-২ মাসের মধ্যে এসইও রিলেটেড প্রথম কাজ পেয়েছিলাম এবং সেই কাজে আমি 5 স্টার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক পাই। আমি এখন পর্যন্ত ওডেস্কে 5 টার মত কাজ কমপ্লিট করেছি।

বর্তমানে আমি যেই কোম্পানির সাথে কাজ করছি এরাই আমাকে সবসময়ই কাজ দেয়। তাই ওডেস্কে নিয়মিত কাজ করা হয় না। তবে ওডেস্কে  আমার দুই-তিনটা ফিক্সড ক্লাইন্ট আছে। মাঝে মাঝে তাদের কাজ করে দেই।

এখন এই ফ্রিলান্সিংটাই আমার পেশা। ভবিষ্যত নিয়ে বলতে পারবো না তবে ফ্রিলান্সিং করতেই থাকব পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম।

আর এডাল্ট আইটি লিমিটেড সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, তবে আমি সারা জীবন এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর মেম্বারদের বিশেষ করে আকাশ ভাই এর কাছে ঋণী হয়ে থাকব। আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে যা করেছি তা সবই ওনাদের অবদান। ধন্যবাদ এডাল্ট আইটি লিমিটেড ।

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র সমিকুল ইসলামের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                                                    সমিকুল ইসলাম

 

ফ্রিল্যান্সিং ব্যাপারটার সাথে প্রথম পরিচয় আমার গত বছর (২০১৫) নভেম্বর  মাসে। প্রথম দিকে এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ভাগ্যক্রমে একদিন ফেসবুকে একটা পেজ এ লাইক দেই । সেখানে অনেক রকম পোস্ট এবং কমেন্ট পড়ি। বলতে গেলে সেখান থেকেই একটু একটু করে জ্ঞান লাভ হয়। তার পর ঐখান থেকে রায়হান নামক এক ভাই আমাকে ইমেইল খুলে দেয়ার কাজ দেয়। মূলত ঐ কাজটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং কাজ। ঐখান থেকে কথা হয় আকাশ নামক আরেক ভাইয়ের সাথে। সে আমাকে কিছু ডাটা এন্ট্রির কাজ দিতো করার জন্য এবং পাশাপাশি এ ব্যাপারে অনেক পরামর্শ দিতো। আর সেখান থেকেই এসইও শিখার প্রতি একটা ঝোক মাথায় আসলো। গুগলে সার্চ করে করে অনেক কিছুই শিখলাম কিন্তু সত্যি বলতে কি অনেক প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছিলাম না। তখন কোন উপায় না পেয়ে একটা ভালো ইনস্টিটিউট খোজা শুরু করলাম।

 

ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলাম এডাল্ট আইটি  কে। অনেকটা কষ্ট করে টাকা যোগাড় করে ভর্তি হলাম আকাশ ভাইয়ের ক্লাসে। তবে প্রথমে ভয়ে ছিলাম টাকা সব জলে গেলো না তো! কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম এতদিন অযথাই সময় নষ্ট করেছি। এরপর অ্যাডভান্সড লেভেলে আকাশ ভাই ক্লাস পরিচালনা করেন।

অবশেষে যত কনফিউশন ছিল সব সমাধান হল। তারপর মার্কেট এ কাজ খোজা শুরু করলাম এবং আলহামদুলিল্লাহ পেয়েও গেলাম। প্রথম কাজটা শেষ করে দ্বিতীয় কাজও পেলাম।আমার কাজটা ক্লায়েন্ট এতই পছন্দ করেছিল যে সে আমাকে পরবর্তিতে ফুল টাইম জব অফার করে তাও মার্কেটপ্লেসের বাহিরে। আমার ক্লাইন্টের বিশাল এসইও এবং অ্যাফিলিয়েট বিজনেস। তিনি আমাকে প্রতি মাসে অগ্রিম পে করে তাই পেমেন্ট নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা মাথায় আসে না। ক্লাইন্ট তার সব ডেভলপিং এবং অন্যান্য সব কাজ আমাকে দিতে লাগলো। সুসংবাদ হল এখন আমার ক্লাইন্ট আমাকে তার বিজনেসের পার্টনার বানাতে চাচ্ছে।

 

ভাবতেই ভাল লাগে আমি এই বয়সে নিজে অনলাইনের কাজ করে আয় করছি এবং আরও কয়েক জনকে টাকা উপার্জনের পথ করে দিয়েছি আল্লাহর রহমতে। এখন এটাই আমার পেশা ও নেশা।

যারা ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুন অথবা কাজ করতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু কথা বা উপদেশ-

 

১। প্রবল ইচ্ছা না থাকলে আপনি এই সেক্টরে বেশীদিন টিকে থাকতে পারবেন না।

২। আপনার ইচ্ছার সাথে ধৈর্য্য অবশ্যই লাগবে।

৩। গুগল কে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে তবে মার্কেটে ভালো কিছু করতে হলে এক্সপার্টদের      শরণাপন্ন অবশ্যই হতে হবে।

৪। ১০০% সৎ থাকতে হবে নয়তো যে কোন সময় আপনার ক্যারিয়ার ধস নেমে যাবে।

৫। মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে মোটামুটি টাইপের জ্ঞান এখন আর কাজে লাগে না।

পরিশেষে আমি এডাল্ট আইটি লিমিটেড প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানাই যাদের সঠিক গাইডলাইন আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং নতুনদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

​​

আমাদের সাফ্যলের কিছু গল্প শুধুমাত্র আপনার জন্য ।

ফ্রিল্যান্স সেক্টরে নতুনদের সঠিক গাইডলাইন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাতে এডাল্ট আইটি লিমিটেড সর্বদাই নিবেদিত। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তরুনরা দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বেকারত্ব বিমোচনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এডাল্ট আইটি পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নতুনদের এই সেক্টরে অনুপ্রানিত করতে সেইসব সফল ফ্রিল্যান্সারদের গল্প নিয়ে এডাল্ট আইটি লিমিটেড উদ্যোগ নিয়েছে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে প্রকাশিত হচ্ছে এডাল্ট আইটি লিমিটেডের ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট প্রশিক্ষনের প্রাক্তন ছাত্র প্রলয়  রায়ের সফলতার গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্স জগতে তার  উত্থান এবং সফলতার গল্পঃ

                                                 প্রলয়  রায়

 

আমি প্রলয়  রায় থাকি ফারিদপুর। ফিয়েট  থেকে Diploma in Eng. পাশ করেছি। বর্তমানে Smart Sites নামক একটি কোম্পানিতে WordPress Developer হিসেবে ফুল টাইম জবে কর্মরত আছি।

আমার ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুটা বলতে গেলে ফিয়েট এর ১ম বর্ষে থাকা অবস্থায়। যদিও ডিপ্লোমাতে আমার সাবজেক্ট ছিলো কম্পিউটার, কিন্তু তেমন কোন প্রাক্টিক্যাল নলেজ আমার ছিল না। আর ফিয়েট এ প্রথমদিকে বেশিরভাগই থিওরি পড়াতো। তাই আমি ফারিদপুরের একটা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ শিখে নিলাম। তখন থেকেই মুলত ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করা।

 

প্রথম দিকে মাইক্রোওয়ার্কারসে কাজ করতাম। এরপর আপওয়াকে কাজ করা শুরু করি। পার্ট টাইম ডাটা এন্ট্রি কাজ করে সেই সময়ে মাসে ২০০০-৩০০০ টাকার মত ইনকাম করতাম। কিন্তু আমি কোনভাবেই এই আর্নিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। ভাবতাম এমন কিছু কি করা যায় না যেটা আমার সাবজেক্টের সাথে মিলে। যে কাজ করলে আমি একটা সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবো। তাই অনেক ভেবে চিন্তে ওয়েব প্রোগ্রামিং শেখার সিদ্ধান্ত নিলাম । কিন্তু নিজে নিজে এভাবে শিখে আমার নলেজ বেশিদূর এগোতে পারছিলো না। তাই এমন একজনকে খুজছিলাম যে নিজেও কাজ করছে আর আমাকেও হাতে কলমে কাজ শিখাতে পারবে।

এর মধ্যে একদিন ফেসবুকে আকাশ ভাইয়ের ব্যাপারে জানতে পারলাম আর সেখান থেকেই মূলত এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর সাথে আমার পরিচয়। এরপর খোজ নিলাম। তখনই নিশ্চিত হলাম, এডাল্ট আইটি লিমিটেডই পারবে আমাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে।

এরপরই ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভলপমেন্ট কোর্সে ভর্তি হলাম। আমার যেহেতু ওডেস্কে আগেই ভাল ফিডব্যাক ছিল তাই কাজ পেতে তেমন সময় লাগে নি। সম্ভবত কোর্স শেষ করার ১-২ মাসের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস রিলেটেড প্রথম কাজ পেয়েছিলাম এবং সেই কাজে আমি 5 স্টার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক পাই। আমি এখন পর্যন্ত ওডেস্কে ৩০ টার মত কাজ কমপ্লিট করেছি।

বর্তমানে আমি যেই কোম্পানির সাথে কাজ করছি এরাই আমাকে সবসময়ই কাজ দেয়। তাই ওডেস্কে নিয়মিত কাজ করা হয় না। তবে ওডেস্কে  আমার দুই-তিনটা ফিক্সড ক্লাইন্ট আছে। মাঝে মাঝে তাদের কাজ করে দেই।

এখন এই ফ্রিলান্সিংটাই আমার প্রধান পেশা। ভবিষ্যত নিয়ে বলতে পারবো না তবে ফ্রিলান্সিং করতেই থাকব পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম।

আর এডাল্ট আইটি লিমিটেড সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই, তবে আমি সারা জীবন এডাল্ট আইটি লিমিটেড এর মেম্বারদের বিশেষ করে আকাশ ভাই এর কাছে ঋণী হয়ে থাকব। আমি আমার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে যা করেছি তা সবই ওনাদের অবদান। ধন্যবাদ এডাল্ট আইটি লিমিটেড ।

ict_logo.png
IMG_20210123_185041.jpg
IMG_20210123_183606.jpg
bottom of page