top of page

অনলাইনে আয় করুন ক্যরিয়ার গড়ুন
 

ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়

ইন্টারনেট মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। মানুষ এখন অনলাইনে অর্থ আয়ের জন্য নানা কৌশল প্রয়োগ করছে। অনলাইনে আয়ের নানা পথও তৈরি হয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে গেলে কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে। অনলাইনে কাজ করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজের ক্ষেত্র থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। জেনে নিন এসব সম্পর্কে:

ফ্রিল্যান্সিং

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়। 
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষমানের  করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্মানজনক আয়ের মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং

সহজ কথায়, ফ্রিল্যান্সিং হলো ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে অন্য কারো কাজ করে দেয়া এবং আয় করা।

ফ্রিল্যান্সিং বলতে বুঝায় :

- মুক্তপেশা এবং আপনি যে বিষয়ে স্কিলড সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

- অফিস মেইনটেইন করতে হয় না কিন্তু ঘরে বসে কাজ করতে হয়।

- পরিপূর্ণ স্বাধীনতা কিন্তু বায়ারকে ডেটলাইন অনুসারে কাজ জমা দিতে হবে।

- যতখানি কাজ করবেন ঠিক ততখানি পারিশ্রমিক পাবেন কিন্তু কাজের মান হতে হবে আন্তর্জাতিকমানের।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে ধরনের কাজের বেশি চাহিদা-

  •  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

  •  ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন

  • ভিডিও এডিটিং

  • কন্টেন্ট রাইটিং

  • ব্লগিং

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও): এসইও হলো একটা পদ্ধতি। যেই পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাক করানো হয়। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক কীওয়ার্ড দ্বারা সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটটিকে প্রথমে প্রদর্শন করার প্রক্রিয়াটা হচ্ছে এসইও।

কী-পয়েন্ট:

- সার্চ ইঞ্জিন : সার্চ ইঞ্জিন হলো ওয়েব দুনিয়াতে যে কোনো তথ্য বা ছবি খুঁজে বের করার প্রযুক্তিমাধ্যম। সার্চ ইঞ্জিনগুলো ওয়েবের প্রায় সব ওয়েবসাইটের ইনডেক্সগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে এবং ইউজারের সামনে তা প্রদর্শন করা। সেরা ৫টি সার্চ ইঞ্জিন হলো: গুগল, ইয়াহু, বিং, আস্ক, বাইডু।

- কীওয়ার্ড: কীওয়ার্ড হচ্ছে সার্চিং ওয়ার্ড। আপনি যদি কোন বিষয়ে জানতে চান, জানার জন্য অর্থবোধক যা লিখে গুগলে সার্চ করবেন সেটি হচ্ছে কীওয়ার্ড।

- সার্চ রেজাল্ট: ধরুন আপনি গুগলে সার্চ করলেন- "Best perfume for men" এই কীওয়ার্ড লিখে সার্চ দেয়ার পর অনেক ওয়েবসাইট চলে আসল। এটাই হলো সার্চ রেজাল্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডিজাইন হলো একটি ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট ইন্ড বা বাইরের রূপ, যা আপনি দেখতে চাইছেন তা কীভাবে দেখাচ্ছে সেটি হচ্ছে ব্যাক ইন্ড। একটি ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট ইন্ড তৈরি করে ওয়েব ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ব্যাক ইন্ডে কাজ করে ফ্রন্ট ইন্ডকে জীবন্ত রূপ দেয়া। একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করার আগে টার্গেটেড ভিজিটর নিয়ে চিন্তা করতে হয়। টার্গেটকৃত ভিজিটরের চাহিদা, রুচি ও অভ্যাস মাথায় রেখে ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গ্রাফিক্স ডিজাইন: কোনো একটি বিষয়কে ছবি, লেখা কিংবা শেপ দিয়ে ভিজ্যুয়ালি উপস্থাপন করাটা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে সৃষ্টিশীল কাজ। যে যত বেশি সৃষ্টিশীল, সে তত বেশি সফল। মার্কেট প্লেসে কিংবা লোকাল মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইনের কাজ রয়েছে। বায়ার সব সময় ইউনিক ডিজাইন পছন্দ করে। গতানুগতিক ধারার কিছুটা বাইরে গিয়ে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে এবং নিজের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করতে হবে।

 

ভিডিও এডিটিং: ভিডিও এডিটিং করা হয় মূলত ভিডিওকে কাটা, নয়েজ রিমুভ, কালার কারেকশন, সাউন্ড মিক্সিং, ইফেক্ট ও এনিমেশন দ্বারা পরিপূর্ণভাবে সাজিয়ে একটা বার্তা কিংবা গল্প তৈরি করতে। ভিডিও এডিটিং করার জন্য অনেক সফটওয়্যারের ব্যবহার জানতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সফটওয়্যার হলো- অ্যাডোব প্রিমিয়ার প্রু, কেমটেসিয়া স্টুডিও, সনি ভেগাস, ফিলমুরা ইত্যাদি।

 

কন্টেন্ট রাইটিং: কোয়ালিটি কন্টেন্ট ইজ কিং। মার্কেটে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের চাহিদা ব্যাপক। বিশেষ করে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে তাদের কন্টেন্ট প্রয়োজন হয়। কন্টেন্ট রাইটিং করতে হলে ভালো ইংরেজি জানতে হবে এবং ভালো কোন রাইটারের তত্ত্বাবধানে থেকে কিছুদিন প্র্যাকটিস করতে হবে এবং তার পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

ব্লগিং: ব্লগে এক বা একাধিক বিষয়ে লেখালেখি করাটাই হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং করতে হলে একটি ব্লগ লাগবে। সেটি হতে পারে ফ্রি কিংবা পেইড ব্লগ। ব্লগিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। যেমন: টেকনোলজি, রাজনীতি, ভ্রমণকাহিনী, জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা ইত্যাদি। ব্লগিং করতে হলে আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মার্কেটিং করে বিক্রয়ের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাওয়া। মানে যত বেশি প্রডাক্ট সেল করতে পারবেন তত বেশি কমিশন পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে নিস সিলেক্ট, প্রডাক্ট নির্বাচন, মার্কেটিংসহ নানা দিক রপ্ত করতে হবে।

মোটকথা, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে এবং চেষ্টা থাকতে হবে।

 

 

 

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : কিভাবে করবেন ?

সরকার ঘোষনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উতস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাব

এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।

প্রথমেই একটা কথা পরিস্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।

আউটসোর্সিং কি ?

এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানীর যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরী প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমান টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামুলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার,ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

বড় কোম্পানীর বদলে ছোট কোম্পানী, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহি হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার/৮০০০ টাকা পাবেন। লাভ দুজনেরই।

কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্যযায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিস্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামুল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)। 

তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরন, সময়, অর্থের পরিমান ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহি তাদের জন্য।

আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারনত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)।  যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথেসাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।

কাজের ধরন

একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানীর, অপরটি ছোট কোম্পানী কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মুলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানীর বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিস্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।

আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহন সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানীতে পরিনত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।

ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহি। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।

এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরী, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমান তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমান তত বেশি এই নিয়মে।

উদাহরন হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করে যে পরিমান অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরী করে পাবেন তারথেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।

কি শিখতে হবে ?

কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদুর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল।  প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহি হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন।  এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ননার সাথে কোন সফটঅয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।

কত আয় করা সম্ভব ?

বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘন্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রতি মাসে ১০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন ।

কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন

এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।

মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যিকাজের কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারনে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।

upwork, freelancer এধরনের  জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরন। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।

কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।

হতে চান গ্রাফিক্স ডিজাইনে সফল? তবে আপনার জন্যই লেখাটি!

নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রথম লক্ষ থাকে, সে একদিন অনেক বড় মাপের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবে, তার ডিজাইন করা প্রডাক্ট গুলো সারা বিশ্ব ছাড়িয়ে পড়বে পাশাপাশি এক সময় ভালো আয় করবে। কিন্তু অন্য ৮/১০ টা প্রফেশনের মত ডিজাইনিং সেক্টরেও ক্রিয়েটভিটির গ্রো করিয়ে নিয়ে ট্রেন্ডের কাজ করে যেতে দরকার কঠিন পরিশ্রম আর সঠিক গাইড লাইন, তাহলেই সম্ভব সফল হওয়া আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো যা আপনাকে অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে বহুলাংশে।

# আপনি যা করতে পারেন না, সে বিষয়ে জানার আগ্রহ বাড়ান

ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য বা আরও বিস্তারিত জানার জন্য ওয়েবে ঘোরাঘুরি করছেন, হঠাৎ আপনি সুন্দর এক ওয়েবসাইটের ভিজিট করলেন, আর আপনার মনে হল আপনিও যদি এমনটা করতে পারতেন, কেমন হত তবে ? হ্যাঁ আপনিও পারবেন, তবে আপনাকে তাৎক্ষনিক কিছু প্রশ্ন মনে আনতে হবে এবং নিজেকেই সেই প্রশ্নের সমাধান করে করে আনতে হবে। নিচের প্রশ্ন গুলো দেখুন…

১। কিভাবে গ্রাফিক্স টি সম্পাদন হলো বুঝতে চেষ্টা করুন?
২। ডিজাইনটি করার সময় কোন কালার স্কিম ব্যাবহার করছে?
৩। সে নতুনত্ব কি কি আনলো ওয়েবসাইটে?
৪। কোণ বিশেষ ইফেক্ট আছে? সেটা কিভাবে করা যেতে পারে?

“আমি সব সময় এমন কিছু করার চেষ্টা করি যা এর আগে আমি কখনো করিনি আর এর মাধ্যমে আমি প্রতিদিনই নতুন নতুন কিছু শিখি”

# তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার ক্ষমতা

আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই তাৎক্ষনিক চ্যালেঞ্জ গ্রহন করার ক্ষমতা রাখতে হবে। প্রথমে কিন্তু আপনি পারবেন না কিন্তু দেখবেন আস্তে আস্তে আপনি ঠিকই পারছেন। আর একটি কথা মনে রাখবেন, কখনো কোন টিউটরিয়াল দেখে আপনি কিছু শিখতে পারবেন না যদি কিনা আপনি সেটার প্রচেষ্টা না করেন। আর আপনার যদি কালার স্কিম নিয়ে সমস্যা হয় তাহলে আপনি এই ২টা অ্যাডঅন ব্যাবহার করে খুব সহজেই সেটি বের করে নিতে পারবেন।

 

  • গুগল ক্রম এর জন্য- আই ড্রপার

  • মজিলা ফায়ারফক্স এর জন্য- কালার জিলা

  • আর কোন ওয়েবসাইটের প্রকৃত মাপ জানতে চাইলে এই ২ টা অ্যাডঅন আপনার কাজে লাগবে।

  • গুগল ক্রম এর জন্য- পেজ রুরাল

  • মজিলা ফায়ারফক্স এর জন্য- মিসুরালেট

  •  

এবার আপনি গবেষণা শুরু করুন

আপনি এতক্ষণ যে আইডিয়া পেলেন বা যেভাবে গ্রাফিক্সের কাজ করবেন বলে ভাবলেন সেটাকে আমি ফ্রী স্টাইলের কাজ করা বলি এবং ঠিক এই একই ভাবে কাজ করে আমি অনেক নতুন নতুন আইডিয়া পেয়েছি।

কমেউনিটিতে যোগদান

সফল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই কমেউনিটিতে যোগ হতে হবে। বর্তমানে অনেক ফেসবুক গ্রুপ আছে, আছে বিভিন্ন ফোরাম যেখানে গ্রাফিক্সের অনেক অনেক আলোচনা হয় আর সাথে আপনি অনেক টিপস ও টিউটোরিয়ালও পাবেন যা আপনার ট্রেন্ডি করে ভালো করতে সেখাবে।

অন্যান্য ডিজাইনারেরা কিভাবে আর কি কাজ করে সেটি জানবেন। এখানে আপনি অনেক আইডিয়া পাবেন যা আপনার অনেক হেল্প করবে নতুন কোন ডিজাইন করতে। DeviantART, Behance, Dribbble ইত্যাদি এই সাইট গুলোতে আপনি আপনার ডিজাইন স্যাম্পল জমা দিতে পারবেন। নিতে পারবেন আপনার ডিজাইনের ফিডব্যাক। আপনার পরিচিতি বাড়ানো কারন আপনি যদি একজন ভালো মানের ডিজাইনার হতে চান তবে ভবিষ্যতে এটি আপনাকে অনেক হেল্প করবে। আপনার সাবমিট করা ডিজাইন গুলো পোর্টফলিও হিসেবে কাজ করে, এগুলো দেখে অনেকেই আপনাকে হায়ার করতে চাইবে পাবেন অনেক কাজের অফার।

বিভিন্ন কন্টেস্টে যোগদান করা

বিভিন্ন সময় দেখা যা ওয়েবে অনেক কন্টেস্ট চালু করে তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, আপনার উচিৎ অবশ্যই সেই গুলোতে যোগ দেয়া। আপনি ভাব্বেন না যে আপনি সেখানে টিকতে পারছেন না বা পারবেন না, আমি বলবো আপনি কখনো মনোবল হারাবেন না লেগে থাকুন আর আগের করা ভুল গুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে শুরু করুন। নিয়মত বিভিন্ন কন্টেস্টে যোগ দিন, পাঠান আপনার কাজের স্যাম্পল।

আমি আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু সাইটের সন্ধান দিচ্ছি যেখানে প্রাই সময় কন্টেস্ট চালু করে থাকে-

  • 99Designs

  •  HatchWise

  •  CrowdSpring

  • কন্টেস্ট যোগ দেওয়ার আগে কিছু কথা

  • কর্তৃপক্ষ ঠিক কোন ধরনের ডিজাইন চাচ্ছে সেটি ভালো করে বুঝুন।

  •   আপনার ক্লাইন্টের চাহিদা ঠিক কেমন।

  •  আপনার ক্লাইন্ট কে বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনার কথাগুলা।

 আপনার জ্ঞান শেয়ার করুন গেস্ট পোস্ট অথবা নিজের ব্লগেই

আপনি নিয়মিত লিখা লিখি করতে পারেন, নিজস্ব ব্লগ কিংবা বিভিন্ন গেস্ট ব্লগ সাইটে, অংশ গ্রহণ করতে পারেন ফোরাম সাইটেও। ওয়েবে মার্কেট ধরার এখন পর্যন্ত শীর্ষ একটা মাধ্যম হচ্ছে ফ্রি কন্টেন্ট ডেভেলপ করা, আর যা অতি সহজেই ব্লগিং করে করতে পারবেন। নিজের এক্সপার্টাইজ দেখিয়ে ভালোভাবে ব্লগিং চালিয়ে যেতে পারবে খুব ভালো সারা পাবেন। দেখবেন যে আপনি আস্তে আস্তে ঐ বিষয়ের জনপ্রিয় একজন লেখক হয়ে উঠেছেন আর তখন আপনি নতুন কোন ক্লাইন্ট পেয়ে গিয়েছেন। তাই আপনার ভেতরে যা আছে টা সবার সাথে শেয়ার করুন এতে করে সময় নষ্টের চেয়ে উপকারটাই বেশি হবে।

পরিশেষে আমি আপনাকে এতটুকু বলবো আপনি যদি একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে আমার দেয়া নির্দেশনা গুলা ফলো করতে পারেন। আর কেউই কখনো পারফেক্ট ডিজাইনার হতে পারে না ভুল করতে করতে সে তার ভুল গুলা সংশোধন করে নেয়। আপনিও ভুল করুন আর আপনার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে শুরু করুন দেখেবন আপনি একদিন অনেক ভালো মানে ওয়েব বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন।

 

 

 

 

 

অনলাইনে আয় এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশের তরুন তরুণীদের মাঝে বিষণ আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে যারা চাকরি পার্থী অথবা ছাত্র কিন্তু নিজের আয়ে চলতে চায়। কেনইবা থাকবেনা আমাদের দেশে চাকরির যেই অবস্থা তাতে একজন গ্রেজুয়েটের প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলারি শুরু হয় ১০-১৫ হাজারের মধ্যে আর সরকারি চাকরিতো সোনার হর

যাইহোক অনেকেই শুনেছেন অলনাইনে অনেক টাকা আয় করা যায় (মাসে ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইত্যাদি) তবে কি ভাবে এই টাকা আয় করা যায় তা জানেনা আবার অনেকে আছে জানেন তবে পরিপূর্ন ধারনা নেই। যদি আপনি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করে থাকেন তবে আপনি এই পোষ্টির শেষ পর্যন্ত পড়বেন আশাকরি একটা ভালো ধারণা পাবেন।

অনলাইন আয়ের যে কয়টি মাধ্যম আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন তবে আগেই বলে রাখি এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা ও আয় শুরু করা খুব একটা সহজ বিষয় না তবে আপনি ধৈর্য্য ধরে স্টেপ বাই স্টেপ সব শিখে কাজ শুরু করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। আর ভালো মানের ইনকাম করার জন্য দরকার ভালো মানের প্রশিক্ষন, তাই রেপটো নিয়ে এলো স্টেপ বাই স্টেপ এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার পরিপূর্ন বাংলা কোর্স যা কমপ্লিট করে আপনি হতে পারবেন একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটারChief Executive Officer(CEO)

develop-your-own-digital-marketing-busin
SEO-Backlinks.png
Web-Development-Services.jpg
1-ZmPjYuZ-FdbK5a_dKkzMJw.jpeg
Wedding-Video-Editing.jpg
secrets-of-short-story-writing.jpg
Earning-Passive-Income.jpg
earn-money-from-affiliate-marketing.jpg

THANK YOU VISIT MY SITE

bottom of page