top of page

স্বামীজি বলেছেন, শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম। দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ। অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম, অপরকে ঘৃণা করাই পাপ । ফলে সুস্থ জীবনে বাঁচতে এই রাস্তাই একান্ত কাম্য।

Swami-Vivekananda-Chicago-Address-741x10

       স্বামী বিবেকানন্দ সেবা সংঘের  সেবা সমূহ

  • হিন্দু যুব সমাজকে সুশিক্ষায় জাগ্রত করা,

  • ধর্মীয় অনুস্ঠানে জনবল ও ভক্ত সেবার জন্য আর্থিক দান করা

  • অসহায় মানুষের পাসে দারানো,

  • রক্ত দান কর্মসুচি

  • অত্র সংঘের সদস্যদের চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা।

lord-brahma-1484546735.png
God-PNG-File.png
shiva-png-270.png

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,

হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে

“যখন আপনি ব্যস্ত থাকেন তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয় কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয়না” – Swami Vivekananda

SBSS.png
projects.

জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর

তিনি ছিলেন একজন হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারতীয় অতীন্দ্রি়য়বাদী রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তার পূর্বাশ্রমের নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত।স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তার গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ; তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন।১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে, নরেন্দ্রনাথের গুরুভ্রাতা বাবুরামের মা নরেন্দ্রনাথ ও অন্যান্য সন্ন্যাসীদের আঁটপুর গ্রামে আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করে হুগলি জেলার আঁটপুরে যান এবং কিছুদিন সেখানে থাকেন।

আঁটপুরেই বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায় নরেন্দ্রনাথ ও আটজন শিষ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।তারা রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মতো করে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। নরেন্দ্রনাথ “স্বামী বিবেকানন্দ” নাম গ্রহণ করেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও ইউরোপে তিনি হিন্দু দর্শনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অসংখ্য সাধারণ ও ঘরোয়া বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং ক্লাস নিয়েছিলেন। তার রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ, রাজযোগ, জ্ঞানযোগ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদান্ত, ভারতে বিবেকানন্দ, ভাববার কথা, পরিব্রাজক, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, বীরবাণী (কবিতা-সংকলন), মদীয় আচার্যদেব ইত্যাদি।”সখার প্রতি” কবিতার অন্তিম দুইটি চরণ- “বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? / জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।” – বিবেকানন্দের সর্বাধিক উদ্ধৃত একটি উক্তি

মহাপ্রভোঃ কীর্তন-নৃত্য-গীত-
বাদিত্রমাদ্যন্মনসো রসেন।
রোমাঞ্চ-কম্পাশ্রু-তরঙ্গভাজো
বন্দে গুরোঃ শ্রীচরণারবিন্দম্ 

অনুবাদ-  সংকীর্তন, নৃত্য, গীত ও বাদ্যাদি দ্বারা শ্রীমন্মহাপ্রভুর প্রেমরসে উন্মত্ত-চিত্ত যাঁহার রোমাঞ্চ, কম্প-অশ্রু-তরঙ্গ উদ্গত হয়, সেই শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম আমি বন্দনা করি।

সংসার-দাবানল-লীঢ় লোক-
ত্রাণায় কারুণ্যঘনাঘনত্বম্।
প্রাপ্তস্য কাল্যাণ-গুণার্ণবস্য
বন্দে গুরোঃ শ্রীচরণারবিন্দম্ 

অনুবাদ-  সংসার-দাবানল-সন্তপ্ত লোক-সকলের পরিত্রাণের জন্য, যে কারুণ্য-বারিবাহ তরলত্ব প্রাপ্ত হইয়া কৃপাবারি বর্ষণ করেন, আমি সেই কল্যাণ গুণনিধি শ্রীগুরুদেবের পাদপদ্ম বন্দনা করি।

about.

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বিশ্বব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন

শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু যে কিভাবে নিরন্তর পতিত জীবদের উদ্ধার করার চিন্তায় মগ্ন থাকতেন, তা ‘এ দুঃখ অপার’ উক্তিটির মাধ্যমে ব্যক্ত হয়েছে।  এই উক্তিটি থেকে বোঝা যায় যে, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, যিনি স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তিনি সর্বদা এই জড় জগতের অধঃপতিত জীবদের পোষণ করে অত্যন্ত দুঃখিত হতেন তাই তিনি সর্বদা চিন্তা করতেন কিভাবে তাদের এই দুর্বিষহ জীবন থেকে উদ্ধার করতে পারা যায়।

সকল জীবেরই জীবনে অত্যাবশ্যকীয় উদ্দেশ্য- পরম পুরুষোত্তম ভগবানের সাথে লুপ্ত সম্বন্ধ পুনরুদ্ধার করা। আমাদের পরমাত্মা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শুদ্ধ প্রেমভক্তির বিকাশ না হলে অন্তরের বেদনাময় অসন্তোষের অভিজ্ঞতা আমাদের সইতেই হবে- জড় সম্পদের সাফল্য-ঐশ্বর্যে যে যতই ভূষিত হই, ভগবদ্ভক্তির অভাবে জন্মে জন্মে একটি অনিত্য শরীর থেকে অন্য শরীরে দেহান্তরিত হয়ে জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধির বেদনাময় আবর্তে কষ্ট পেতেই হবে।  জীবনের এই দুঃখময় পরিস্থিতি থেকে আমাদের উদ্ধার করার জন্যই আমাদের ভগবদ্ভক্তির কল্পবৃক্ষ রূপে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

contact.
bottom of page